দুনিয়ার দুঃখ দুঃখই না, জাহান্নামের দুঃখই আসল দুঃখ

প্রতিটি জীবকে মরতে হবে, আমি চাই বা না চাই, এদুনিয়া ছেড়ে যেতেই হবে, আসুন দুনিয়ায় থেকে আসল জিন্দিগি কবর, হাশর ও জান্নাতের পাথেয় সংগ্রহ করি।

দুনিয়ার সুখ সুখ না, জান্নাতের সুখই আসল সুখ

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার উপর ঈমান এনেছে তার জন্য তো একবার মোবারকবাদ। আর যে আমাকে দেখে নাই তারপরেও আমার উপর ঈমান এনেছে তাকে বারবার মোবারকবাদ - মুসনাদ আহমাদঃ ৩/১০০

কালেমা পড়ি, ঈমান আনি, বলি আমি মুসলিম

“ তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” -সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০

দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী, নিশ্চই আমিও দুনিয়ায় ক্ষনস্থায়ী

“ রাসুলে পাক (সা:) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নয়া হবে।ে।” -সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০

নামাজ বেহেস্তের চাবি

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার উপর ঈমান এনেছে তার জন্য তো একবার মোবারকবাদ। আর যে আমাকে দেখে নাই তারপরেও আমার উপর ঈমান এনেছে তাকে বারবার মোবারকবাদ - মুসনাদ আহমাদঃ ৩/১০০

Saturday, March 28, 2015

সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়ম ও পদ্ধতি

সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়ম ও পদ্ধতি

মুফতি মুহাম্মদ আল আমিন

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) তাঁর চাচা হজরত আব্বাস (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘চাচা, পারলে আপনি সালাতুত তাসবিহ নামাজ সপ্তাহে একবার, তাও না পারলে মাসে একবার, তাও না পারলে বছরে একবার পড়বেন। অন্তত জীবনে একবার হলেও নামাজ পড়বেন। নামাজ দ্বারা জীবনের ছগিরা, কবিরা, ইচ্ছাকৃত, অনিচ্ছাকৃত, নতুন, পুরনো, গোপন, প্রকাশ্য_সব রকম গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
এখন সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়মাবলি আমরা জেনে নিতে পারি। সালাত শব্দের অর্থ নামাজ। আর তাসবিহ শব্দের অর্থ এখানেসুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’_এই তাসবিহকে বোঝানো হয়েছে। সুতরাং যে নামাজে তাসবিহ পড়া হয় তাকে সালাতুত তাসবিহ নামাজ বলে। নামাজ হলো চার রাকাত। প্রতি রাকাতে উপরিউক্ত তাসবিহ ৭৫ বার পড়তে হয়। তাহলে চার রাকাতে ৩০০ বার হয়।
সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার দুটি নিয়ম আছে।
প্রথম নিয়ম হলো :
প্রথমে নিয়ত করবে, আমি চার রাকাত সালাতুত তাসবিহ নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম। এরপর ছানা অর্থাৎ সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা_এটা পড়বে। এরপর যেকোনো সুরা মেলাবে। সুরা শেষ করে ওই দাঁড়ানো অবস্থায়ই ১৫ বার তাসবিহ পাঠ করবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবে। রুকুর তাসবিহ পড়ার পর আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে। এরপর রুকু থেকে উঠেরাব্বানা লাকাল হামদবলার পর আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে। এরপর সিজদায় যাবে। সিজদার তাসবিহ পড়ার পর ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে। সিজদা থেকে উঠে দুই সিজদার মাঝখানে আবার ১০ বার পড়বে। দ্বিতীয় সিজদায় সিজদার তাসবিহ পড়ার পর আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে। এই হলো ৬৫ বার। এখন আবারআল্লাহু আকবারবলে দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠে বসে ১০ বার পড়বে। অতঃপর দাঁড়াবে। এই হলো এক রাকাতে ৭৫ বার। এবার দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ রাকাতে একইভাবে সুরা তাসবিহ পড়তে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে শেষ রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার আগে ১০ বার তাসবিহ পড়ে নিতে হবে। তারপর সালাম ফেরাতে হবে। কোনোভাবেই আত্তাহিয়্যাতুর পর তাসবিহ পড়া যাবে না এবং কোনোভাবেই প্রতি রাকাতে ৭৫ বারের বেশি পড়া যাবে না।

দ্বিতীয় নিয়ম হলো :
নিয়ত বেঁধেই ছানা পড়ার পর সুরা-কিরাত পড়ার আগেই ১৫ বার, সুরা-কিরাত শেষে ১০ বার। এখানে দাঁড়ানো অবস্থায় ১০ বারের বেশি হয়ে গেলে, এই নিয়মে পড়লে দ্বিতীয় সিজদা থেকে সোজা দাঁড়িয়ে যাবে। দ্বিতীয় সিজদাতেই ৭৫ বার হয়ে যাবে এবং আত্তাহিয়্যাতুর আগে ওই তাসবিহ পড়তে হবে না। তাসবিহ ৩০০ বার হতে হবে, কম হলে সালাতুত তাসবিহের ফজিলত পাওয়া যাবে না। তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে পড়তে হবে। যদি কেউ কোনো এক জায়গায় তাসবিহ পড়তে ভুলে যায় বা কম থেকে যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে যে জায়গায় মনে আসবে, সেখানে ছুটে যাওয়াটাও আদায় করে নেবে। সালাতুত তাসবিহ যেকোনো সুরা দিয়ে পড়া যায়। তবে কেউ কেউ বলেছেন, নামাজে সুরা আসর, কাউছার, কাফেরুন ইখলাছ পড়া উত্তম। সালাতুত তাসবিহ ছাড়া এমন আরো যত নফল নামাজ আছে, তা যেকোনো সুরা দিয়ে পড়া যেতে পারে। কোনো কোনো বইপুস্তকে লেখা পাওয়া যায়, শবেবরাতে নামাজে অমুক সুরা এতবার পড়তে হয়, এটা ঠিক নয়। এসব বক্তব্য অসমর্থিত। শবেবরাতের নফল নামাজে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে অমুক সুরা পড়তে হবে বা অমুক সুরা পড়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, যেকোনো নফল নামাজে যেকোনো সুরা পড়া যায়।

লেখক : খতিব,  মোল্লাপাড়া জামে মসজিদ, দক্ষিণখান, ঢাকা