দুনিয়ার দুঃখ দুঃখই না, জাহান্নামের দুঃখই আসল দুঃখ

প্রতিটি জীবকে মরতে হবে, আমি চাই বা না চাই, এদুনিয়া ছেড়ে যেতেই হবে, আসুন দুনিয়ায় থেকে আসল জিন্দিগি কবর, হাশর ও জান্নাতের পাথেয় সংগ্রহ করি।

দুনিয়ার সুখ সুখ না, জান্নাতের সুখই আসল সুখ

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার উপর ঈমান এনেছে তার জন্য তো একবার মোবারকবাদ। আর যে আমাকে দেখে নাই তারপরেও আমার উপর ঈমান এনেছে তাকে বারবার মোবারকবাদ - মুসনাদ আহমাদঃ ৩/১০০

কালেমা পড়ি, ঈমান আনি, বলি আমি মুসলিম

“ তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” -সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০

দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী, নিশ্চই আমিও দুনিয়ায় ক্ষনস্থায়ী

“ রাসুলে পাক (সা:) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নয়া হবে।ে।” -সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০

নামাজ বেহেস্তের চাবি

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার উপর ঈমান এনেছে তার জন্য তো একবার মোবারকবাদ। আর যে আমাকে দেখে নাই তারপরেও আমার উপর ঈমান এনেছে তাকে বারবার মোবারকবাদ - মুসনাদ আহমাদঃ ৩/১০০

Friday, August 23, 2013

ইসলামে বিশুদ্ধ হও - একটি অসাধারন গল্প।

ইসলামে বিশুদ্ধ হও-  - একটি অসাধারন গল্প।
===============­==============
একদিন এক যুবক একজন আলেমের কাছে এসে বললঃ "হুযুর, আমি একজন তরুণ যুবক । কিন্তু সমস্যা হল, আমার মাঝে মাঝে প্রবল খায়েশ কাজ করে । আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি, তখন আমি মেয়েদের দিকে না তাকিয়ে পারি না । আমি এখন কি করতে পারি ?"
তখন ঐ আলেম কিছুক্ষন চিন্তা করলেন । চিন্তা করার পর তাকে একটা দুধ ভর্তি গ্লাস দিলেন । গ্লাস পুরোটায় দুধে কানায় কানায় পরিপুর্ণ ছিল ।
অতঃপর ঐ আলেম তাকে বললেনঃ "আমি তোমাকে বাজারের
একটি ঠিকানা দিচ্ছি, তুমি এই দুধটুকু সোজা সেখানে পৌছিয়ে দিয়ে আসবে । ঐ আলেম তাকে আরও নির্দেশ দিলেন যে, গ্লাস থেকে এক
ফোঁটা দুধও যাতে না পরে । অতঃপর ঐ আলেম, উনার এক ছাত্রকে ঐ যুবকের সহযোগী করে আদেশ দিলেনঃ "তুমি এই যুবকের সাথে বাজারে যাও এবং সে যদি যাওয়ার সময় এই গ্লাস থেকে এক ফোঁটা দুধও ফেলে দেয়, তাহলে তুমি তাকে চরমভাবে পিটাতে থাকবে ।
ঐ যুবকটি সহজেই দুধটুকু বাজারে পৌছিয়ে দিল এবং এই সংবাদ হুযুরকে জানানোর জন্য দৌড়ে ছুটে আসল ।
হুযুর জিজ্ঞাসা করলেনঃ "তুমি যাওয়ার সময় কয়টি মেয়ের চেহারা দেখেছ?"
যুবকটি সবিস্ময়ে বললঃ "হুযুর, আমি তো বুঝতেই পারি নি আমার
চারপাশে কি চলছিল । আমি তো এই ভয়েই তটস্থ ছিলাম যে,
আমি যদি দুধ ফেলে দিই তবে রাস্তায় সমবেত সকল মানুষের সামনে আমাকে মারা হবে ।
হুযুর হাসলেন এবং বললেনঃ "মুমিনরা ঠিক এভাবেই আল্লাহকে ভয় করে । এবং মুমিনরা সবসময় চিন্তা করে, যদি সে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ঐ দুধের ন্যায় ছিটকে ফেলে তবে তিনি সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কিয়ামত দিবসে সমগ্র সৃষ্টিজগতের সামনে তাকে অপমানিত করবেন । এভাবে সর্বদাই বিচার দিবসের চিন্তা, মুমিনদের গুনাহ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে ।"

সূত্র - আজিজুর রহমান ভাইয়ের ফেইচ বুক থেকে নেওয়া।

Thursday, April 11, 2013

জেনে নিন কাজা নামাজ আদায় করার পদ্ধতি


জেনে নিন কাজা নামাজ আদায় করার পদ্ধতি
নামাজ একটি অবশ্য পালনীয় বিধান। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, সবল বিবেকবান মুসলমান নর-নারীর ওপর প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেয়া কবিরা গুনাহ। পরে তার কাজা আদায় করা ওয়াজিব। কেউ যদি তওবাও করে তাহলেও কাজা নামাজ আদায় করার হুকুম বিলুপ্ত হয় না, এমনকি হজ করার মাধ্যমেও মাফ হয় না। কেউ যদি কাজা নামাজ আদায় না করে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এ রোগে মারা যায় আর অসুস্থাবস্থায় লোকটি ওয়ারিশদের তার পক্ষ থেকে কাজা নামাজের ফেদিয়া দেয়ার কথা বলে যায়Ñ এ অবস্থায় তার ওয়ারিশদের ওপর ফেদিয়া দেয়া ওয়াজিব। এমন অনেক লোক রয়েছে, যাদের জিম্মায় অনেক কাজা নামাজ রয়েছে। আর কাজা নামাজ আদায় করার সময় এ নিয়ত করতে হবে, আমি অমুক দিনের জোহরের নামাজ কাজা আদায় করছি।
যদি দিন-তারিখ মনে না থাকে, এমতাবস্থায় এভাবে নিয়ত করবে আমি আমার জীবনের সর্বপ্রথম জোহর নামাজের কাজা আদায়
করছি। এভাবে প্রত্যেক কাজা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে নিয়ত করবে। এভাবে ততদিন পর্যন্ত কাজা নামাজ আদায় করতে থাকবে, যতক্ষণ না ব্যক্তির মন এ সাক্ষ্য দেবে, তার জিম্মায় কোনও নামাজ কাজা নেই।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল, প্রত্যেক নামাজের জামাতের কিছু সময় আগে মসজিদে চলে যাবেন, যেন একাধিক ওয়াক্তের কাজা আদায় করতে পারা যায়। যেমন কোনও ব্যক্তি আসর নামাজের আজানের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে গিয়ে আগের কাজা আসর নামাজ আদায় করল। এভাবে কাজা নামাজ আদায় করতে করতে একটা সময় আসবে যখন মনে হবে তার আর কোনও নামাজ কাজা নেই। যে ব্যক্তির জিম্মায় কাজা নামাজ রয়েছে, তার জন্য উত্তম হল নফল নামাজের পরিবর্তে কাজা নামাজ আদায় করা। কেন না সে কাজা নামাজ সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে। ফতওয়ায়ে মাহমুদিয়ার ১১তম খণ্ডের ৪৫৩নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, তাহাজ্জুদ, এশরাক ও অন্যান্য নফল নামাজের সময় কাজা আদায় করবে। এজন্য যে, আশা করা যায় এ সময় কাজা আদায় করার মাধ্যমে তাহাজ্জুদ, এশরাক ও অন্যান্য নফল নামাজেরও সওয়াব পাওয়া যাবে। শবেবরাত, শবেকদরেও কাজা আদায় করবে। উল্লেখ্য, কাজা নামাজ আদায় করার সময় শুধু ফরজ ওয়াজিব আদায় করবে। সুন্নত আদায় করতে হবে না। যেমন কোনও ব্যক্তির যদি এশার নামাজ কাজা হয়ে থাকে, এমতাবস্থায় সে শুধু চার রাকাত ফরজ এবং তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করবে।
তবে কারও যদি ফজর নামাজ কাজা হয়ে যায় এবং তা দ্বিপ্রহরের আগে আদায় করার ইচ্ছা করে, এমতাবস্থায় সুন্নতসহ ফরজ নামাজ আদায় করবে। আর কারও যদি জুমার নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে জুমার কাজা আদায় করবে না বরং চার রাকাত জোহর নামাজ আদায় করবে।
সংগৃহতি - যুবাইর আরাফাত, দনৈকি যুগান্তর, তাং এপ্রিল ১২, ২০১৩, শুক্রবার

Saturday, March 2, 2013

নিজকে জানো, ইসলামে বিশুদ্ধ হও

নিজকে জানো, ইসলামে বিশুদ্ধ হও

আমরা মুসলিম।
সেজন্য শুকরিয়া সেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি আমরা জানি, আজ আছি , হয়ত আগামীকাল থাকব না, ফিরে যেতে হবে আল্লাহর দরবারে, আমি কি প্রস্তুুত , কি বলেন, আপনার মতামত দিন।

আপনি ইসলাম সম্পর্কে  কোন কথা লিখেতে চাইলে আমাদের ম্লেইল করুন।